শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

জাতীয় বাজেট এবং পরিবেশ-জিজ্ঞাসা

পাভেল পার্থ:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। প্রায় ৯৬৯ গুণ বেশি। ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে দেশের ৫২তম এই বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাড়ছে বাজেট, বাড়ছে দেশের মানুষও। কিন্তু নিদারুণভাবে কমছে অরণ্য, জলাভূমি, সবুজবলয়, বৃক্ষ, নদী, প্রাণবৈচিত্র্য, পাহাড় কিংবা উন্মুক্ত পাবলিক প্রান্তর। প্রতি বছর দেশের জাতীয় বাজেট বাড়ে, কিন্তু কমতে থাকে জাতীয় পশুর সংখ্যা, হারিয়ে যায় জাতীয় পাখির আবাস। তাহলে এই উন্নয়ন অভিযাত্রা কী কেবল মানুষেরই জন্য? এভাবে কী এককভাবে মানব প্রজাতি দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারবে? জাতীয় বাজেট কি মানুষের মতোই দেশের প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশকে সমান বিবেচনায় দেখে? কৃষি, দুর্যোগ, পানিসম্পদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখাই কেবল পরিবেশবান্ধব চিন্তা নয়। সামগ্রিক বাজেট চিন্তা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ সুরক্ষার ছাপ থাকা জরুরি। আয়তনে ছোট হলেও প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ও উন্নয়নচিন্তা প্রতিবেশমুখী হওয়া জরুরি। আর এটিই হয়ে উঠতে পারে পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটে জর্জর দুনিয়ার বুকে এক অনন্য দলিল, বাংলাদেশের সত্যিকারের পরিচয়।

এক স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে জাতীয় বাজেট। প্রশ্ন জাগে দেশের সামগ্রিক প্রাণ-প্রজাতিকে সুরক্ষিত রেখেই কী এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে? অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে মাত্র ৩ ভাগ মানুষ। কিন্তু মানুষের পাশাপাশি যদি এই প্রশ্ন নদী, বন, পাহাড় বা গাছেরা করে? দেশের পাখি, পতঙ্গ, বৃক্ষ, অণুজীব, শস্য, মাছ, সরীসৃপ, উভয়চর, গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীরা এই বাজেট থেকে কী পেল? দেশের কতগুলো নদী দখল ও দূষণমুক্ত হবে? কিংবা ছানাদের নিয়ে নিরাপদে কত পাখি গাছে বাসা বানাতে পারবে, উন্নয়নের দোহাই তুলে কাটা হবে না সেই গাছ। কত ভাগ হাতি বা বানর অভুক্ত হয়ে লোকালয়ে এসে লাশ হবে না? হয়তো এসব জিজ্ঞাসার কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো আমাদের কাছে নেই। কিন্তু এসব জিজ্ঞাসাকে দাবিয়ে রেখে বা পাশ কাটিয়ে কী আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠতে পারে?

পরিবেশ খাতে বাজেট কমছে না বাড়ছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু তারচেয়ে জরুরি হলো বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব চিন্তা ও অনুশীলনকে অগ্রাধিকার দেওয়া। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন ও পরিচালনে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগত বাজেটগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পরিবেশ খাতে জাতীয় বাজেট বরাদ্দ কখনো কমেছে আবার কখনো বেড়েছে। চলতি বছরে জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনের বিষয়টিকে নীতিকৌশল ও কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বাজেটে তাই জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা খাতের জন্য এ বছর ১৩৮ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। জলবায়ু সংকটের কারণে দেশের নানা অঞ্চলে নানামুখী আপদ-বিপদ ও দুর্যোগ বাড়লেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এ বছর গতবারের চেয়ে ৬৪৬ কোটি টাকা কমিয়ে ১০ হাজার ১১৮ কোটি প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দের চেয়ে গুরুত্ববহ হলো এই বরাদ্দ আমরা কী ধরনের পরিবেশগত কাজে ব্যয় করব এবং ভিন্ন ভিন্ন বাস্তুতন্ত্র বা প্রাণ-প্রজাতি ভিন্নতায় কোন বিবেচনাগুলোকে অগ্রাধিকার দেব। আমরা হয়তো ‘বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য একটি বাঘ প্রকল্প’ গ্রহণ করলাম, কিন্তু সুন্দরবনের জটিল খাদ্য-শৃঙ্খলকে বিবেচনায় রাখলাম না। বাস্তুতন্ত্রের সামগ্রিক সুরক্ষা ছাড়া কী এককভাবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে? কিংবা একটি নদী প্রকল্পের ক্ষেত্রে নদী সংকটের সঙ্গে জড়িত সামগ্রিক দূষণ, দখল, নাব্য হ্রাস, জলজ বৈচিত্র্য, সুরক্ষা বহুমুখী সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। এমনকি পরিবেশ সুরক্ষা তো কেবল একটিমাত্র কোনো একক মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয় বা কয়েকটি খাত বরাদ্দের ভেতর দিয়েও প্রতিবেশগত নিরাপত্তা আমরা আশা করতে পারি না। প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় দেশের সব মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট এবং বাজেট ব্যয়ের ক্ষেত্রেই পরিবেশগত প্রতিফলন থাকা জরুরি। সেটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার কী জনপ্রশাসন সব বিভাগেই। সব উন্নয়নচিন্তা ও অনুশীলনেই।

চলতি অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৫ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন হলো, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্র কৃষির কেমন রূপকে অগ্রাধিকার দিতে চায়? কেমন কৃষিজ বাংলাদেশ দেখতে চায়? পরিবেশবিনাশী বিপজ্জনক রাসায়নিক কৃষি না প্রকৃতিনির্ভর প্রতিবেশবান্ধব কৃষি? কারণ দেশে একই সঙ্গে রাসায়নিক কৃষির পক্ষে কৃষিনীতি আছে, আবার পরিবেশসম্মত কৃষির পক্ষে জৈব কৃষিনীতিও আছে। বাজেটে খাত বরাদ্দের চেয়ে গুরুত্ববহ হলো স্মার্ট বাংলাদেশের কৃষিনীতির রূপকে স্পষ্ট করা। তথাকথিত সবুজ বিপ্লবের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া বহুজাতিক কোম্পানির বাণিজ্য চাঙ্গা রাখার রাসায়নিক কৃষি দিয়ে কী কোনোভাবেই দেশের পরিবেশ সুরক্ষা ও স্মার্ট আগামী সম্ভব? আগামীর বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক কী রাসায়নিক দূষণ এবং বিপজ্জনক সীসা ও ভারী ধাতুতে ভরপুর খাদ্য গ্রহণ করে অসুস্থ নাগরিক হয়েই বড় হবে? তাহলে কৃষি ক্ষেত্রে জাতীয় বাজেটকেও পরিবেশমুখী হতে হবে। সরকার জৈব কৃষিনীতি করেছে, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা চালু করেছে, ভূগর্ভস্থ পানির আধার রক্ষা করতে মরিয়া, এমনকি শস্যবৈচিত্র্যর সুরক্ষা দিতে চায়। তাহলে সরকারের পক্ষে কী বহুজাতিক কোম্পানির সার-বিষ-বীজনির্ভর বাণিজ্যিক কৃষিকে স্মার্ট বাংলাদেশে চাঙ্গা রাখা সম্ভব? রাসায়নিক কৃষির দূষণের কারণে মাটির অণুজীব, কেঁচো, মাছ, মৌমাছি, ব্যাঙ, সাপ নির্বিচারে মরছে প্রতি বছর। স্মার্ট বাংলাদেশের কৃষিপ্রকল্পের কারণেও কী এদের মৃত্যু অব্যাহত থাকবে? বোরো মৌসুম এবং লিচু-আমের মৌসুমে দেশে বহু পাখিদের কারেন্ট জালের ফাঁদে হত্যা করা হয়। আমরা আশা করব কৃষি বাজেট এমনভাবে ব্যয় হবে, যাতে আর কোনো পাখির নির্মম মৃত্যু না ঘটে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ লাখ ৯৫ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। কঠিন বর্জ্যরে দশভাগই প্লাস্টিক। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নদীর মাধ্যমে প্রায় ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য বঙ্গোপসাগরে মেশে। প্রতি বছর ৮ থেকে ১২.৭ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে জমা হয়। ১৮টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মাধ্যমে প্রতি বছর ২.৬ মিলিয়ন টন একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মেশে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে দশ বছর মেয়াদি এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। ২০২৬ সালের ভেতরে দেশকে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকমুক্ত করতে লক্ষ্য অর্জনে প্রথম ধাপে সব সরকারি দপ্তরে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করব জাতীয় বাজেটে প্লাস্টিক-দূষণ থেকে দেশের পরিবেশ ও জনজীবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে খাত বরাদ্দ হবে। বিশেষ করে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধে বিকল্প হিসেবে পাটজাত, মাটি, বাঁশ, কাগজ, কাঁচ, ধাতব শিল্পের বিকাশে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় নিজেদের বরাদ্দকৃত বাজেটে সুস্পষ্ট খাত ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। কারণ প্লাস্টিক-দূষণ থেকে দেশকে মুক্ত করতে কেবল পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একক উদ্যোগ নিলে হবে না, এ ক্ষেত্রে সব মন্ত্রণালয়ের সমান অংশগ্রহণ জরুরি। পলিথিন নিষিদ্ধকরণ এবং দেশজ পাটজাত পণ্য বিপণন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বেশি সক্রিয় হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই তৎপরতা দেশের পাটশিল্পকে যেমন বিকশিত করবে পাশাপাশি পলিথিন বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে এ বিষয়ে বরাদ্দ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে থাকলেও সব সংশ্লিষ্টজনকে নিয়ে এই কর্মসূচি সক্রিয় করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট নিরসনে এবং ঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন ও সক্ষমতা বাড়াতে আমাদের বাজেট দরকার, দরকার সুনির্দিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনাও। পাশাপাশি আপদ-বিপদ ও দুর্যোগ মোকাবিলায়ও সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে ত্রাণ ও সহযোগিতার চিন্তাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে বরং জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির খাতগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশের বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাজেট হলেই কর বেড়ে যাওয়া একটি নিয়মিত ঘটনা। পাশাপাশি পরিবেশবিনাশী নানান উন্নয়ন প্রকল্প ও তৎপরতা বেড়ে যাওয়াও একটি বাজেট-পরবর্তী সক্রিয়তা। প্রাকৃতিক বনভূমি বিনাশ ও জবরদখল করে সমানে কারখানা গড়ে তোলা, জলাভূমি ভরাট করে আবাসন বাণিজ্য, লাগাতার ইটভাটা, কৃষিজমির অবাধে অকৃষি খাতে ব্যবহার, প্রতিবেশগত সংকটপূর্ণ এলাকা ও বনভূমিতে শিল্পাঞ্চল ও বহুজাতিক খননের অনুমতি, সমানে বাণিজ্যিক হাইব্রিড ফসলের বীজ আমদানি কী ক্ষতিকর সার-বিষ ব্যবসার প্রসার এমনতর পরিবেশবিনাশী তৎপরতাগুলো প্রতি বছর বাজেট ঘোষণার পর আরও বেশি প্রবল হয়। দেশের বাজেটের আকার বাড়ার পাশাপাশি পরিবেশবিনাশী তৎপরতাগুলোরও বাণিজ্য ও মুনাফা দিনে দিনে বাড়ে। অন্যদিকে দেশে প্রাণ ও প্রকৃতির বৈচিত্র্য ও সম্ভার কমতে থাকে। দারুণ সব প্রাকৃতিক অঞ্চল ও বাস্তুসংস্থান তাদের টিকে থাকার শেষ দমটুকুও হারিয়ে ফেলে। জনগণের করের টাকা দিয়ে সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, জনপ্রশাসন, জনশৃঙ্খলা, প্রতিরক্ষা, ভর্তুকি, প্রাণোদনা, সুদ, জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ ইত্যাদির খরচ মেটাচ্ছে। কিন্তু এখানে মানুষ বাদে দেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সুরক্ষা ও হিস্যা কতখানি এ প্রশ্ন খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরিবেশ ও উন্নয়ন যৌথ সারথি। সত্যিকারের উন্নয়ন মানেই যেখানে পরিবেশ সুরক্ষার তৎপরতাগুলো জেগে থাকে। আবার অন্যদিকে পরিবেশ সুরক্ষা মানেই সত্যিকারের উন্নয়ন। জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবে পরিবেশ সুরক্ষার খাতগুলোকে চিহ্নিত করে বিশেষ বরাদ্দ তৈরি হোক। জাতীয় বাজেটে পরিবেশ সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়–ক এবং পরিবেশ সুরক্ষায় অপরাপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাজেট ও ব্যবস্থাপনাকে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলবে এই আমাদের প্রত্যাশা। পরিবেশ সুরক্ষা কোনোভাবেই কারও একার দায় বা দায়িত্ব নয়। এটি প্রজাতি হিসেবে আমাদের টিকে থাকার এক মৌলিক শর্ত। কেবল বরাদ্দই শেষ কথা নয়, এই বরাদ্দ কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, এর ব্যবস্থাপনা কেমন এবং কীসের জন্য কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে এসব কিছু মিলিয়েই পরিবেশ-প্রশ্ন। আশা করি রাষ্ট্র দেশের প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় সক্রিয় ও দরদি হবে। উন্নয়ন মনস্তত্ত্বে পরিবেশচিন্তার ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আসবে।

লেখক : লেখক ও গবেষক

animistbangla@gmail.com

ভয়েস/আআ/সূত্র: দেশরূপান্তর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION